About the Ashram Emblem
আশ্রমের প্রতীকের ব্যখ্যা
পদ্মের পাপড়িগুলি এখানে ভক্তি বিশ্বাসের প্রতীক। শ্রী শ্রী গুরুদেব বলেছেন – “ভাব ছাড়া ভক্তি লাভ করা যায় না। ভক্তি সাধনার ভিত্তি। প্রত্যেকের ভিতরে ভক্তি, বিশ্বাস ও স্নেহ আছে। ভক্তির দ্বারা পরকাল ও বিশ্বাস দ্বারা আনন্দ লাভ করা যায়। আনন্দের অভাবে গুরুকে বাঁধতে পারা যায় না। গুরু যতদিন তাঁর শিষ্যকে ভক্তির হাতে তুলে দিতে না পারেন, ততদিনই গুরুর কাজ।”
এই ভক্তি-বিশ্বাসের উপর একটি আশীর্বাদী হাত দেখা যাচ্ছে। তাঁর এই হাত থেকে যখন আশীর্বাদ অর্থাৎ কৃপা এসে পড়বে তখনই নির্ভরতা আসবে। তাঁর উক্তি – “আমার জীবন ধৌত হয়েছে, আমি আর কলুষিত করব না – এইটা নির্ভরতা। যতক্ষণ গুরু ও ভগবান না দেন ততক্ষণ এ নির্ভরতা আসতে পারেনা।” এই আশীর্বাদী হাত এখানে নির্ভরতার প্রতীক।
এর উপরে ‘ওঁ’ বিরাজ করছে। এই ‘ওঁ’ (অ-উ-ম) অর্থাৎ ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর। এই ‘ওঁ’-কার সাধনায় নিজেকে সম্পূর্ণ রূপে আত্মসমর্পণ করতে হবে। তাই ‘ওঁ’ এখানে আত্মসমর্পণের প্রতীক।
শ্রী শ্রী গুরুদেবের বাণী – “বিশ্বাস চাই, নির্ভরতা চাই, চাই পূর্ণ আত্মসমর্পণ – তবেই সবকিছু হবে।” সবকিছু অর্থাৎ সিদ্ধিলাভ বা মোক্ষলাভ হবে। তিনি বলেছেন, “সাধক যখন সিদ্ধিলাভ করে তখন ব্রহ্মা এসে বলে আমার সৃজন শক্তি নাও, বিষ্ণু এসে বলেন আমার পালন শক্তি নাও , মহাদেব এসে বলেন আমার সংহার শক্তি নাও। তখন সাধক যদি এসে বলতে পারে আমি এসব চাই না, আমি শুধু তোমাকে চাই। তখন ‘মা’ তাঁর সামনে শ্রীকৃষ্ণ হয়ে দাঁড়ান।
এবার সবার পিছনে যে উদীয়মান সূর্য অর্থাৎ দিব্যজ্যোতির যে প্রকাশ ঘটেছে, সেটি পরমাত্মস্বরূপের প্রতীক।
অতএব আশ্রমের প্রতীকটি শ্রী শ্রী গুরুদেবের উক্ত বাণীকে সম্পূর্ণ রূপে ব্যক্ত করেছে।