Gurudeva
A Brief Profile of Guruvar Shri Shri Sadhu Sitaram
Guruvar Shri Shri Sadhu Sitaram was incarnated at Bargadda, an obscure village situated nearby 13 k.m. west of Hazaribagh Town, Jharkhand (the then Bihar) in a ‘Gopa’ family on Saturday, the 22nd November, 1885 (6th Agrahayan, 1292 of the Bengali era). Having lost his parents (mother Smt Nanda Devi and father Sri Moni Mahato) at a very premature age the beloved ‘SITUA’ got shelter in the family of Sri Girin Gupta, an advocate of Hazaribagh.
In his short life span Sadhu Sitaram realized and attained the synthesis of all religions through peregrination in the path of austere practice. Getting initiated by Swami Purnananda Saraswati of Dashnam Sect of Jagadguru Adi Sankaracharya descendance, Sadhu Sitaram went to ‘Tarakeshwar’ on instruction of Lord Shiva to be initiated in ‘Shaiva Mantra’ directly by ‘Baba Taraknath’ and from there to ‘Kamakshya’ via ‘Bindhyachal’ and was indoctrinated by ‘Devi Bhairavi’ in ‘Shakti Mantra’. On her order he proceeded to ‘Puri Dham’, got sacramented in ‘Vaishnav Mantra’ and was blessed with transcendental vision from ‘Shri Shri Jagannath Deva’. The Avatar had prodigious acumen in devotional songs and many musical instruments and he stressed importance in religious prayer, meditation and worship through these medium.
Sri Sri Sadhu Sitaram set up ‘Ananda Bhawan Ashram’ at Suriya, Hazaribagh with the Sri Murti images of ‘Maa Anandamoyee Kali’ and ‘Madan Mohan – Radharani’ in the year 1930. He was the creation of collective venture of ‘Lord Shiva’ and ‘Lord Vishnu’ inheriting the qualities and powers of both and for the benefit of mankind who take refuge in Him. All people of different cults, faiths, beliefs and convictions can take shelter under his banner. He infuses life and courage in the minds of his devotees and blesses them all with the Supreme Wisdom.
On Friday, the 22nd April, 1932 (9th Baisakh, 1339 of the Bengali era), this great Avatar and our Holy Master being absorbed in profound meditation and trance, fused into greater esse.
শ্রী শ্রী গুরুদেবের জীবনপঞ্জী
- ১৮৮৬ সালের ২২শে নভেম্বর শনিবার পিতা শ্রীযুক্ত মণি মাহাতো ও মাতা শ্রীমতী নন্দাদেবীর কোলে জন্ম নেন এক দেবশিশু যিনি পরবর্তী কালে আবির্ভূত হন আমাদের হৃদয়ের অধিষ্ঠিত দেবতা, আনন্দ ভবনের প্রভু, জগতগুরু শ্রী শ্রী সাধু সীতারাম রূপে ।
- ১৮৯৬ সালে বিন্ধ্যাচলের বিন্ধ্যবাসিনী মা দুর্গার দর্শণ ও নির্দেশ লাভ – ‘বাবা সীতু, তোর জন্য আমার মন সর্বদা চঞ্চল থাকে, তুই হাজারীবাগে আশ্রম প্রতিষ্ঠা করে থাকগে । সেখানে তুই আমাকে সর্বদা পাবি ।
- ১৮৯৭ সাল থেকে ১৯১৫ সাল – এই সময়ে তিনি কামাক্ষ্যা, রংপুরের ভবানীপুর কালীবাড়ি, পুরী, কালীঘাট, অযোধ্যা, মথুরা, বৃন্দাবন, বারানসী, রাজারাপ্পা, বৈঁসী, বৈদ্যনাথধাম – এইসকল তীর্থধামে গভীর সাধনা করেন ।
- ১৯১৩ সালে তাঁর প্রাণাধিক প্রিয় মুসলিম গুরু সন্ন্যাসী কামাল পাশার অগ্নিময় আদেশ লাভ করেন – হাজারীবাগে ফিরে কালীকৃষ্ণ মন্দির নির্মাণপূর্বক স্থায়ী আশ্রম প্রতিষ্ঠা করার ।
- ১৯১৫ সালের প্রথমার্ধে তিনি নিজেকে প্রকাশ করেন এক সহজ, সরল, দরিদ্র এক সুরদাস – সীতুয়া ওস্তাদ রূপে । তাঁর চারটি গানের ক্যাসেট প্রকাশিত হয় দি গ্রামাফোন কোম্পানী লিমিটেড-এর সৌজন্যে ।
- ১৯১৫ সাল হইতে ১৯২২ সাল শ্রী শ্রী গুরুদেব কাটান সকলের জ্ঞাতার্থে এক অজ্ঞাতবাসে, যা সাধনমার্গের সব থেকে কঠিন অবস্থা ।
- ১৯২২ সালের প্রথমার্ধে আনন্দ ভবনের ভাগ্যাকাশে ঘন মেঘের আস্তরণ সরে গিয়ে প্রকাশিত হয়ে পড়ল মধ্যাহ্ন সূর্যের তেজরশ্মি, প্রকাশিত হয়ে পড়ল অলৌকিক যোগ সম্পদে সমৃদ্ধ ৩৭ বছরের এক দেবমানব, প্রকাশিত হয়ে পড়ল সঙ্গীত সাগরে ভাসমান এক সীতুয়া ওস্তাদের কাহিনী ।
- ১৯২৪ সালে তৈরী হয় অস্থায়ী আশ্রম – তাতারপুর ।
- ১৯৩০ সালে শিষ্যভক্তদের কাতর আহ্বান, সনির্বন্ধ অনুরোধ ও তাদের হিতার্থে শ্রী শ্রী গুরুদেব আশ্রম প্রতিষ্ঠার সম্মতি প্রদান করেন ।
- ১৯৩০ সালের ৭ই এপ্রিল, সোমবার শুভ রামনবমী তিথিতে হাজারীবাগ জেলার অন্তর্গত (বর্তমান গিরিডি) সরিয়া পল্লীতে আশ্রম রোডে অবস্থিত ভাগলপুর নিবাসী ডাঃ যোগেশচন্দ্র সেনের লালরঙের বাড়ি লালকুঠীতে আশ্রম প্রতিষ্ঠা হয় ।
- ১৯৩১ সালে স্থায়ী আশ্রম প্রতিষ্ঠার জন্য জমি ক্রয় ও রেজিষ্ট্রী হয় । শ্রী শ্রী গুরুদেব আশ্রমের মন্দির দুটির ও নাটমন্দিরের নকশার রূপরেখা প্রদান করেন ।
- ১৯৩২ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারী, শ্রী পঞ্চমীর পূণ্য তিথিতে, পূজাহোমাদি অনুষ্ঠানের সঙ্গে শ্রী শ্রী গুরুদেব স্বহস্তে নূতন ভূখন্ডে বিগ্রহ মন্দিরের ভিত্তি স্থাপনা করেন ।
- ১৯৩২ সালের ১৪ই এপ্রিল লেখা শেষ পত্রে শ্রী শ্রী গুরুদেব নিজের আসন্ন তিরোভাবের ইঙ্গিত প্রদান করেন ।
- ১৯৩২ সালের ২২শে এপ্রিল শুক্রবার জীবন্মূক্ত শ্রী শ্রী ঠাকুরের দেহ মুক্তির সূচনা হল । স্থূলের সমাপ্তি, সুক্ষের ব্যাপ্তি, প্রতিষ্ঠিত হল গুরু শক্তির জ্যোতির্ময় স্বরূপ ।